মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

"রসের হাড়ি'- বিএনপি

১)
"এ কারণেই বিনএপি পার্টিটা করতে ইচ্ছা হয় না। সব চুর বাটপার আইসা ভীড়সে এক জায়গায়। তারেক জিয়া মেট্রিকপাশ, ভালো মানুষের সাথে তার কোন খাতির নাই। চলাফেরা সব আউল ফাউল লোকদের সাথে। চাপাইনবাব গঞ্জের যুবদল আমার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করে,আমার নামে মামলা করে। আমি নাকি দেহের বিনিময়ে সাংসদ হইসি এসব কথা বলে। হেতারা বাকশালী দালাল। বগুড়ার মহিলা দল আমার কুশপুত্তলিকা দাহ করে, আমারে জুতাপেটা করব বলে হুমকি দেয়। তেনারা নারী জাতির কলঙ্ক। মনে হয় তারাও বাকশালী দালাল। আমি ছাড়া বিএনপিতে একমাত্র ভালো লোক বাবুর বাবা ওরফে ফারুক ভাই। উনার জন্যই এখনও পার্টিটা করতেসি।"

একদমে কথাগুলো বলে থামলেন পাপিয়া পান্ডে। এরপর তিনি একটি গান ধরলেন,

"আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম আমি
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
হরতালের দিনে, কত ফোন আইত
পার্টি অফিসে আমরা যাইতাম
পিকেটিং করিতাম, মারামারি করিতাম
বাবুর বাবারে নিয়া বাদামও খাইতাম।
আহা,আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। "
২)
আমি বিএনপি নেতাদের সব ভাষণ ফলো করি। চরম বিনোদিত হই। সমস্যাসংকুল এই জীবনে এত সস্তায় উনারা বিনোদন দেন যে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ না হয়ে পারি না। খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে ওয়ার্ডের পাত্তি নেতা, সবাই একেকটা রসের হাড়ি। বক্তৃতা দিলেই সেই রস চুইয়া চুইয়া পড়ে। লোক হাসানো কঠিন একটা কাজ, আর এই কাজটাই কি অবলীলায় বিএনপি নেতা কর্মীরা করে যাচ্ছেন। উনাদের জন্য রেস্পেক্ট।

সর্বশেষ বিএনপি রসঃ রাস্ট্রীয় ও দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় জননেত্রী শেখ হাসিনা এবারের জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গতকাল। আর আজ বিএনপির নেতারা বলা শুরু করলেন বিশ্বনেতাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন না, এই ভয়ে প্রধানমন্ত্রী নাকি যাচ্ছেন না। যাইহোক, আজ রাতে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিলেন উনি যাবেন জাতিসংঘের সাধারণ সভায়। এর একটা বড় কারণ হতে পারে যে, সজীব ওয়াজেদ জয় এখন দেশে আছেন এবং দলীয় নির্বাচনী প্রচারণার কাজ আপাতত উনি দেখতে পারবেন। এখন বিএনপি নেতারা কি বলবেন ? আমার ধারণা তারা বলবেন যে, বিএনপির চাপের মুখেই প্রধানমন্ত্রী এখন বিশ্বনেতাদের কাছে সাহায্য চাইতে জাতিসংঘে যাচ্ছেন। এই ধরণের কোন বক্তব্যই দিবেন তারা, মোটামুটি নিশ্চিত আমি।

আহ বিএনপি, বাহ বিএনপি ।।
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন