মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

বিএনপি-রঙ্গঃ রিলোডেড

কোন কারণে আমার মন খারাপ হলে আমি অনলাইন নিউজসাইটে ঢুকে খোজে খোজে বিএনপি সংক্রান্ত খবরগুলো পড়ি। বিএনপির নেতারা এত্তো মজার মজার কথা বলেন এবং কাজ করেন যে তা দেখলে অল্পসময়েই আমার মন ভালো হয়ে যায়। সস্তায় বিনোদন পাওয়ার জন্য বিএনপির কোন বিকল্প নেই।
এই যেমন আজ বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বললেন আওয়ামীলীগ নাকি মুক্তিযুদ্ধের দল নয়। তা মীর্জা সাহেব, আওয়ামীলীগের ব্যাপারে কথা বলবেন ঠিক আছে, কিন্তু নিজের পিতৃ পরিচয়টা মনে আছে তো ? আপনার পিতা মীর্জা রহুল আমিন ওরফে চখা মিয়া যে ঠাকুরগাও এর শীর্ষ স্থানীয় রাজাকার ছিলেন, তা মনে আছে ? নাকি ফরেন মালের সাথে সেটাও গিলে খেয়েছেন? রাজাকারের ছেলে দেয় মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট, এর থেকে মজার আর কি হতে পারে বলুন? 
আজকের জন্য এতটুকু মজাতেই আমার চলত। কিন্তু বিএনপি বলে কথা! আগেই বলেছি বিনোদন দিতে তাদের কোন জুড়ি নেই। তাই ফ্রী হিসেবে আজ তারা আরও একটি বিনোদন আইটেম পরিবেশন করল।
জাতীয় কাউন্সিল করার জন্য আবারও নির্বাচন কমিশনের কাছে সময় চেয়েছে বিএনপি। নির্ধারিত সময়ের মাঝে কাউন্সিল করতে না পারার কারণ হিসেবে তারা বলেছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কাউন্সিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করা যায়নি। এজন্য ২০১৪ সালের ৩১ মে’ পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে তারা। বেচারারা আর কারণ খোজে পেল না। কাগজ নস্ট হয়ে যাওয়ার অজুহাত দেখাতে হল। আমাদের বিনোদন দেয়া ছাড়া এর পিছনে আর কি ই বা উদ্দেশ্য থাকতে পারে। উল্লেখ্য নিজেদেরকে এদেশের গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক দাবি করলেও বিএনপি দলের ভিতরে গণতন্ত্রের ছিটেফোটাও নেই। তাদের সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৯ সালের ৮ই ডিসেম্বর। এরপর আর কাউন্সিলের আর কোন খোজ নেই। 
এই দুইটা খবর পড়েই নিউজ সাইট থেকে বের হয়ে গেলাম। একদিনে এর বেশি বিনোদন নেয়া আমার পক্ষে পসিবল না, বদহজম হতে পারে। শেষ একটাই কথা, বেঁচে থাকো বিএনপি-আমাদের নির্মল বিনোদনের উৎস হিসেবে। আহ বিএনপি, বাহ বিএনপি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন