সকাল
বেলা ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করার জন্য ব্রাশটা হাতে নিয়ে ইন্ডিয়ান
ক্লোজআপ অথবা কোলগেট টুথপেস্টের ছিপি খুলে প্রয়োজন মতো পেস্ট মেখে নিবেন।
এবার হাঁটতে হাঁটতে আবার বেডরুমে যাবেন। কম্পিউটারে মিডিয়া প্লেয়ার ওপেন
করে ফুল ভলিউমে ‘আব তুম হি হো’ গানটা ছেড়ে দিবেন। গুন গুন করতে করতে
বাথরুমে ঢুকুন। শরীরটা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে স্ট্রবেরি ফ্লেভারড লাক্স সাবান
গায়ে মাখুন। মাথায় মাখুন অলক্লীয়ার
শ্যাম্পু। গোসল করে বেরিয়ে এসে একটি ভালো টাওয়েল দিয়ে শরীরটা মুছে ফেলুন।
এরপর পুরো গায়ে পন্ডস বডি লোশন মাখুন। গায়ে জড়িয়ে নিন রূপা গেঞ্জি,
আন্ডারওয়ার। জামা পরা শেষ হলে একটি ভারতীয় পারফিউম বগলের নীচে স্প্রে করে
নিন।
সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আইপডে এ আর রহমানের হিন্দি গান ছেড়ে দিয়ে হেডফোনটা কানে লাগান। পার্কিং থেকে হিরো অথবা পালসার হোন্ডাটা বের করে চলে যান গন্তব্যে।
সারাদিন কাজকর্ম সেরে সন্ধ্যায় বন্ধুদের আড্ডায় বসে চেন্নাই এক্সপ্রেস এবং আশিকি-২ নিয়ে বিতর্কটা সেরে নিন। বেশিক্ষণ থাকবেন না যেন। তিস্তা চুক্তি আর রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ব্লগ এবং ফেসবুক ভীষণ উত্তপ্ত। বাসায় ফিরেই গ্যাজাতে হবে যে!
বাসায় ফিরে চাইলে একবার পরিবারের সাথে বসে স্টার প্লাস অথবা জি বাংলার সিরিয়াল কিছুক্ষণ দেখতে পারেন। ফ্রেশ হয়ে কিছু মুখে দিয়েই কম্পিউটারের সামনে চলে আসুন।
“দেখুন না, আজও সীমান্তে একজনকে মেরে ফেলেছে বিএসএফ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও এতো মানুষ মারা যায়নি, বর্তমান সরকারের আমলে বিএসএফের হাতে যত মানুষ মারা গেছে।” নিশ্চয় ফেসবুকে এ স্টাটাসটাই দিলেন? এবার আরো লিখুন “আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করে ভারতীয় দালালদের এ বাংলার মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।”
কাইন্ডলি এবার একটু ব্লগে যাবেন। তিস্তা চুক্তি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে একজনে একটা পোস্ট দিয়েছে। সেখানে গিয়ে কমেন্ট করুন “আবারো বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন। ভারতের পা চাটা কুত্তা, দালালদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।” এরপর দেখবেন জামায়াতকে ক্ষমতায় আশা করার জন্য কেউ এসে আপনাকে ছাগু বলবে। আপনি তাকে ভাদা (ভারতীয় দালাল) বলুন।
এভাবে নিজেকে বদলে ফেলতে পারেন। হয়ে উঠতে পারেন একজন আদর্শ ভারতবিরোধী। জীবনে আনতে পারেন গতি। তার জন্য প্রয়োজন এক কাপ লিপটন তাজা তরল শান্তি।
আহ ভারত বিরোধী, বাহ ভারত বিরোধী।
কারটেসিঃ দৈনিক মগবাজার (অনুলিখিত)
সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আইপডে এ আর রহমানের হিন্দি গান ছেড়ে দিয়ে হেডফোনটা কানে লাগান। পার্কিং থেকে হিরো অথবা পালসার হোন্ডাটা বের করে চলে যান গন্তব্যে।
সারাদিন কাজকর্ম সেরে সন্ধ্যায় বন্ধুদের আড্ডায় বসে চেন্নাই এক্সপ্রেস এবং আশিকি-২ নিয়ে বিতর্কটা সেরে নিন। বেশিক্ষণ থাকবেন না যেন। তিস্তা চুক্তি আর রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ব্লগ এবং ফেসবুক ভীষণ উত্তপ্ত। বাসায় ফিরেই গ্যাজাতে হবে যে!
বাসায় ফিরে চাইলে একবার পরিবারের সাথে বসে স্টার প্লাস অথবা জি বাংলার সিরিয়াল কিছুক্ষণ দেখতে পারেন। ফ্রেশ হয়ে কিছু মুখে দিয়েই কম্পিউটারের সামনে চলে আসুন।
“দেখুন না, আজও সীমান্তে একজনকে মেরে ফেলেছে বিএসএফ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও এতো মানুষ মারা যায়নি, বর্তমান সরকারের আমলে বিএসএফের হাতে যত মানুষ মারা গেছে।” নিশ্চয় ফেসবুকে এ স্টাটাসটাই দিলেন? এবার আরো লিখুন “আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করে ভারতীয় দালালদের এ বাংলার মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।”
কাইন্ডলি এবার একটু ব্লগে যাবেন। তিস্তা চুক্তি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে একজনে একটা পোস্ট দিয়েছে। সেখানে গিয়ে কমেন্ট করুন “আবারো বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন। ভারতের পা চাটা কুত্তা, দালালদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।” এরপর দেখবেন জামায়াতকে ক্ষমতায় আশা করার জন্য কেউ এসে আপনাকে ছাগু বলবে। আপনি তাকে ভাদা (ভারতীয় দালাল) বলুন।
এভাবে নিজেকে বদলে ফেলতে পারেন। হয়ে উঠতে পারেন একজন আদর্শ ভারতবিরোধী। জীবনে আনতে পারেন গতি। তার জন্য প্রয়োজন এক কাপ লিপটন তাজা তরল শান্তি।
আহ ভারত বিরোধী, বাহ ভারত বিরোধী।
কারটেসিঃ দৈনিক মগবাজার (অনুলিখিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন