বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৩

রসিক বিএনপি

১)
 বিএনপি নেতা মওদুদ : "ক্ষমতায় গেলে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক পরিবারকে বিশ লক্ষ টাকা দেয়া হবে। "
একটু ফিরে দেখা যাক,

2004 সালে তেজগাঁওয়ের ফিনিক্স ভবন ধসে নিহত হয়েছিল শতাধিক মানুষ। সঠিক সংখ্যা যদিও সরকারি হস্তক্ষেপের কারনে জানা যায়নি।
2006 সালে সাভারের স্পেক্ট্রাম ভবন ধসে নিহত হয়েছিল চারশতাধিক।
ছোট গণতন্ত্রের লঞ্চ এমভি কোকো ডুবেও নিহত হয়েছিল অসংখ্য মানুষ।
উপরোক্ত কোন ঘটনার সময়ই নিহতদের পরিবারকে বিশলাখ তো দূরের কথা, দুইলাখ টাকা করেও দেয়া হয়নি।
এই অধমের বক্তব্য, "পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়। "


২)  
পৃথিবীতে সবচেয়ে দূর্ভাগা হচ্ছে সেই ব্যাক্তি যে তার জন্মদাতা পিতাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে না। তারেকের মেয়েটার জন্য আমার খুব আফসোস হয়। মেয়েটার কপালটা এত্তো খারাপ কেন? 

৩)
একটা কথা কিন্তু আপনাকে মানতেই হবে দাদা, আপনি যদি কমেডি সিরিয়ালের ভক্ত হয়ে থাকেন তাহলে বিএনপি নেতাদের টকশো আপনার ভালো লাগবেই। কি সুন্দর ভাঁড়ের অভিনয় করে একেকজন। দিলদার, টেলিসামাদ সব ফেল।
আজ বিএনপির একনেতা টকশো তে বললেন তারেক জিয়া কে অপরাধী বললে নাকি সমগ্র বাংলাদেশকেই অপমান করা হয়। একথা বলে উনি নিজেই একটু মুচকি হাসি দিলেন। মানে সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন এখন হাসতে হবে, হাসুন।
গতকাল একনেতা তো আরো রসিক আচরণ করলেন। উনি পরিস্কার জানিয়ে দিলেন তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে তিনটা মামলা থাকুক আর তেরটা মামলাই থাকুক উনাকে কোনভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। পারলে তো উনি দলিল দস্তাবেজ বের করে দেখিয়ে দেন যে তারেক জিয়া কতটাকায় এই দেশটা কিনে নিয়েছেন।
এই অধমের এইসব কমেডি দেখতে ভালোই লাগে। এইসব দেখি আর ভাবি,
"সত্যিই লক্ষীন্দর, কি সুন্দর তোমার বেহুলার বাশি। "
৪)
আমার টেকাটুকা নাই। DHL এর ভাড়া দেয়ার মত টেকা থাকলে আমিও তারেক ভাইরে একখান উকিল নুটিশ পাঠায়া দিতাম। কেন উনি বাংলাদেশের গণতন্ত্ররে মাজাভাঙ্গা অবস্থায় রাইখা, দেশের ষোল কুটি মানুষরে এতিম বানায়া বিলেতে পইড়া আছেন? উনার অভাবে রাস্তার দুপাশের তারবিহীন খাম্বাগুলান আজ শোকে জর্জরিত, অগুনিত ব্যাবসায়ীরা ১০% হাতে লইয়া উনার খোজে ইতস্তত ঘুরে বেড়াইতেসে রাস্তাঘাটে, হাওয়া ভবনে আজ বহে না কুনু সুখের হাওয়া, মামুন ভাই আর বাবর ভাই কারাগারে বইসা উদাস মনে গান গায় "আমার বন্ধুয়া বিহনে গো,সহেনা পরানে গো..."। নাহ, আমি আর বলতে পারছিনা,আবেগাপ্লুত হয়া পড়সি,টিস্যু বক্সটা কইযে রাখলাম।

৫)
আজ থেকে বত্রিশ বছর আগে ঠিক কি হয়েছিল চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে? কি ভাবে খুন হয়েছিলেন ততকালীন রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান? কারা খুন করেছিল তাকে? কেনইবা খুন করা হয়েছিল? সেই খুনীরা আজ কোথায়? সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার নাই কেন? এসব প্রশ্নের কোন উত্তর কি বিএনপি নেতারা দয়া করে আজকের কোন টকশো তে দিবেন ? ভাঙ্গা সুটকেসের কাহিনী শুনিয়ে মানুষের সহানুভূতি তো কম নেন নাই। এবার তাহলে সেই সুটকেসটা ভাংলো কিভাবে সেই গল্পটাও শুনান। নাকি কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপ বের হয়ে আসার সম্ভাবনা আছে?
গোলাপী, ইদানীং তো খুব কইরা কইতাসো তুমরা ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধের বিচার করবা। দুই দুইবার তো ক্ষমতায় ছিলা নিজের জামাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার টাও তো করতে পারলা না। আসলে তুমি করতে চাও না। তুমার পরাণ জিয়ার লাইগা কান্দে না, জাঞ্জুয়ার লাইগা কান্দে। জীবিত জিয়ার থাইকা মৃত জিয়াই তুমারে বেশি সুবিধা দিসে। এ মৃত জিয়ার কারনেই তোমার মত গন্ডমুর্খ এদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়া গেসো। আমরা সবই বুঝি, আমরা তো আর তুমার মতো নন মেট্রিক না।তুমার জন্য অধমের একটাই বাণী, "সত্যিই লক্ষীন্দর, কি সুন্দর তোমার বেহুলার বাশি। "

৬)
ম্যাডাম জিয়া পড়ালেখায় খুব একটা ভালো না হলেও স্কুল লাইফে দুইটা প্রবচন উনি খুব মন লাগায়া শিখছিলেন,একটা হলো, "মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশী। " আরেকটি হলো, "যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া পরশির ঘুম নাই। "উনি আর উনার দলের নেতারা এই প্রবচন দুইটার বাস্তব রুপ দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগসেন এখন। একেই বলে অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী।

৭)
কি হইতাসে এইসব?সকালে রাজশাহীর এক হেফাজতী নেতা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করল কেন্দ্রীয় চার হেফাজতী নেতার বিরুদ্ধে। বিকালে বিএনপির গায়েবানা জানাজা নামাজের কর্মসূচী কে হারাম আখ্যায়িত করে তা বর্জন করল হেফাজত।  
অনুসিদ্ধান্তঃ মিঃ বিন আর থ্রি স্টুজেস এর প্রেতাত্মারা একসাথে ভর করসে বিএনপি আর হেফাজতের নেতাদের উপর।

৮)
বিএনপি নেতা দুদু , "হেফাজতের যেসব নেতা ঢাকায় এসেছেন তারা আমাদের মেহমান, তারা যেন নিজেদের অসহায় বোধ না করেন। যে যেভাবে পারেন খাবার, পানি দিয়ে তাদের সাহায্য করেন।"
এই চুতিয়ারে জিগাইতে মন চায়, দাওয়াত দিয়া সন্ত্রাসীদের ঢাকায় আনসোস কেন? মুরাদ থাকলে নিজেরা মাঠে নাম। অন্যের কাধে বন্দুক রাইক্ষা শিকার করবি আর কতদিন?
RIP BNP
৯)
চিকনা বুদ্ধিতে জোটসঙ্গী জামাতের ধারের কাছেও নাই বিম্পি। যেমন দেখেন জামাত ঈদের পর পরই দুইদিন হরতাল দিল। ঈদের আমেজের কারণে এই সময় রাজধানী সহ বড় শহরগুলোর রাস্তাঘাটে মানুষজন এমনিতেই কম থাকে। ফলে তারা প্রচার করল হরতাল সফল।
আর এদিকে গোলাপী বিবি তার চুতিয়া সাগরেদ দের কথা মাইনা বছরের পর বছর ধরে জাতির সবচেয়ে বেদনার দিনটা নিজের পাচ নম্বর জন্মদিন হিসাবে পালন করতেসে। এর জন্য সবাই তারে গালমন্দ করে, তাও তার লাজ শরম হয়না। অথচ জামাতের মত চিকনা বুদ্ধি খাটায়া গোলাপী যদি 14 ই ফেব্রুয়ারি রে নিজের জন্মদিন হিসাবে বাইচ্ছা লইত তাইলেই কেল্লাফতে হইত। সারাদেশের বেবাকতে মিইলা তার জন্মদিন পালন করত। পোলাপাইন জোড়ায় জোড়ায় ঘুইরা ঘুইরা তার জন্মদিন চিলিব্রেট করত। আর ম্যাডমের 69 তম জন্মদিন যে পোলাপাইন কেমতে পালন করত তা আর নাই বা বললাম। সমাঝদারের জন্য ইশরাই কাফি!


১০)
খালেদা জিয়ার মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশীট দেখলেই উনার বেশ কয়েকটা জন্মদিনের কারণ বোঝা যায়। যে মানুষটা ইতিহাসে ১০ পাইসে তার পক্ষে কি নির্দিষ্ট করে একটা জন্মতারিখ এর কথা মনে রাখা সম্ভব? তাই, যে যখন যে জন্মতারিখ বলসে উনি সেইটাই মাইনা নিসেন। উনার কি দোষ বলেন?
পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও উনি উর্দুতে কিন্তু মাশাল্লাহ ভালো নম্বর পাইসেন। পাকিস্তান অথবা আফগানিস্তানে রাজনীতি করলে কোপায়া ভাজ কইরা ফেলতে পারতেন।
দুর্ভাগ্য যে উনার বাংলাদেশ রাজনীতি করতে হইসে। এটা উনার জন্য যতটা না হতাশার বাংলাদেশের জন্য তার থেকে অনেক বেশি হতাশার। অনেক বেশি দুর্ভাগ্যের ব্যাপার।
 
 
 


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন