বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৩

গোলাপীর দুদু সিরিজঃ ২

সকাল দশটায় গোলাপী কে দুদুর ফোন :

হ্যাল্লো ম্যাডাম!

কি ব্যাপার, তোমার কি সময়জ্ঞান নাই? এতো সকালে ফোন দিসো কেন?

জরুরি কথা কথা আছে ম্যাডাম। কাজ তো একটা করা লাগবো।

তোমার আবার কি কাজ? তোমার কাজ তো একটাই, পার্টি অফিসে রাতদিন বইয়া থাকা আর মাঝে মাঝে টিভিতে নিজের খোমা দেখানো।

না মানে ঠিক আমার না। আপনাগো করতে হইবো।

বুঝায়া কও, তোমার কথাবার্তা রাডারে ধরা পরতেসে না।

ম্যাডাম আপনাগো মানে চার দলীয় জোটের এমপিদের তো সংসদে যাওয়া লাগব।

তুমি কি পাগল হইলা নাকি? আমি এখন আপোষহীন মুডে আছি। সংসদ টংসদে যাইতে পারুম না। তার উপর নেতারা আছে সব দৌড়ের উপর। ডাকলে তো কাউরে পাওয়া যায় না।

ম্যাডাম নব্বই কার্যদিবসের মেয়াদ তো প্রায় শেষের পথে। এর মাঝে না গেলে তো আপনাদের সদস্য পদ থাকবো না।

এইটা আগে কইবা না। জানই তো অঙ্কে আমি কাচা, এতো হিসাব নিকাশ কি মাথায় থাকে নাকি? তাইলে তো সংসদে যাইতেই হইবো। সংসদ সদস্য পদ না থাকলে আমরা খামু কি? যামু কই? সরকারি প্রটোকল ছাড়তে হইবো, ন্যাম ফ্ল্যাটের বাড়ি ছাড়তে হইবো, শুল্ক মুক্ত গাড়ি ছাড়তে হইবো। এগুলো ছাড়া জনগণের সেবা করমু কিভাবে? দিয়ে দাও একটা প্রেসনোট, গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা সংসদে ফিরতেসি।

ঠিক আছে ম্যাডাম। তা আপনার জন্য কি বক্তৃতা লিখা লাগবো?

আমি হইলাম আপোষহীন নেত্রী। গিয়াই তো ওয়াকআউট করুম। বক্তৃতা দেয়ার টাইম কই। তাছাড়া ইদানীং আমার বক্তৃতা হইতাসে না, কি থাইকা কি কয়া ফেলাই ঠিক নাই। অবশ্য চিনিচুরের পোলা আন্ডাটা থাকলে কিছু ফডর ফডর করতে পারতো। রাখলাম এখন। বিউটিশিয়ান রে খবর দিতে হইবো। কতদিন পর সংসদে যাইতেসি। খোমাখানাতে তো মাঞ্জা মারা লাগবো।

(অবশেষে দেশ ও গণতন্ত্রের কথা চিন্তা করে সংসদে ফিরছে বিএনপি )
6

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন